Thursday, May 31, 2018

৬ টি মজার তথ্য যা না জানলেই নয়!!!


৬ টি মজার তথ্য যা না জানলেই নয়!!!

১) মৌমাছি গুনগুন করে কেন?

 মৌমাছির গুনগুন শব্দ আসলে তার দুটো ডানা নাড়ার শব্দ। ডানা নাড়ার ফলে বাতাসের প্রতিধ্বনি ওঠে। সেকেন্ডে ৪০০ বারেরও বেশি মৌমাছি ডানা নাড়ে। কখনো কখনো মিনিটে ২৬,০০০ বারেরও বেশি ডানা নাড়ে। গুনগুন শব্দটা দ্রুত ডানা নাড়ানোর ফলে এসব শোনা যায়।

২) বূমেরাং কেন নিক্ষেপকারীর কাছে ফিরে আসে?

অনেকের বিশ্বাস যে অস্ট্রেলিয়ার আদিম অধিবাসীদের ছোড়া বূমেরাং লক্ষ্য বস্তু বা প্রাণী কে আঘাত করে আবার নিক্ষেপকারীর কাছে ফিরে আসে। এ কথা কিন্তু সত্যি নয়। বূমেরাং বাতাস কেটে যায় বলে সোজা যেতে পারে না। এর একাংশ বাতাস কেটে গেল অপরাংশ তা পারে না। কাজেই তাকে আঁকাবাঁকা পথে যেতে হয়। লক্ষ্য বস্তুকে আঘাত করে সেটা থেমে যায়। বিশেষভাবে তৈরি বূমেরাং আবার নিক্ষেপকারীর কাছে ফিরে আসতে পারে। তবে সে রকমভাবে বূমেরাং তৈরি করা ও ছোড়া বুহু অভ্যাসের ফলে হয়। এরকম কৌশল অস্ট্রেলিয়ার খুব সামান্য অধিবাসী জানে। কিন্তু বর্তমানে পৃথিবীর বেশ কিছু মানুষ এই কৌশল রপ্ত করে নিয়েছে। যার ফলে তাদের বূমেরাং পুনরায় তাদের কাছে ফিরে আসে। বুমেরাং কাঠের তৈরি, এর ডগায় ধাতুর ফলা লাগানো থাকে।

৩) স্পঞ্জ কি উদ্ভিদ?

অনেকে মনে করে যে স্পঞ্জ একরকম সামুদ্রিক আগাছা। আবার কেউ কেউ মনে করত এগুলো একরকম পোকার বাসা। কিন্তু আসলে স্পঞ্জ একরকম প্রাণী। আমরা যে শুকনো স্পঞ্জ ব্যবহার করি তা হলো প্রাণীর কঙ্কাল। জীবিত অবস্থায় স্পঞ্জের গায়ে ফুটো থাকে এগুলো নালীর মতো। এই নালী দিয়ে জল ভিতের টেনে নিয়ে জলের মাঝখানকার ছোট ছোট পোকা খেয়ে বেচে থাকে এরা। প্রথমে জলে ভেসে বেড়ায়। পরে এক এক জায়গায় জমে পাহাড়ের মত হয়ে যায়।

৪) উড়ন্ত চাকী(flying saucer)কি?

উড়ন্ত চাকরি এক ধরনের উড়ন্ত বস্তু- unidentified flying object(সংক্ষেপে UFO)। রোমান ইতিহাসবেত্তা লিবি বলেন, ২১৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দে উড়ন্ত আকাশপথে ঝাঁকে ঝাঁকে ইউরোপে নেমেছিল। তারপর হাজার হাজার বছর ধরে পৃথিবীর নানা দেশের আকাশে চ্যাপ্টা, গোলাকার বা লম্বাটে ধরনের UFO আবির্ভাব ঘটেছে বলে শোনা যায়। অনেকে বলেন UFO দৃষ্টিভ্রম। উড়ন্ত চাকরি বলে কিছু নেই।

৫) সবচেয়ে দ্রুতগামী জীব কোনটি?

মানুষ সবচেয়ে বুদ্ধিমান জীব। কিন্তু সে সবচেয়ে দ্রুতগামী নয়। শুয়োর ঘন্টায় 11 মাইল ছুটতে পারে। শিকারি কুকুর ঘন্টায় ৩০ মাইল ছুটতে পারে। আর ঘোড়া ঘণ্টায় ৪০ মাইল ফুটতে পারে। হরিন ঘন্টায় ৫৯ মাইল ছুড়তে পারে। চিতাবাঘ শিকার করবার সময় ঘণ্টায় ৭০ মাইল ছুটতে পারে।
জন্তুরা এর বেশি ছুটতে পারে না। কিন্তু পাখিদের ক্ষমতা এর চেয়ে অনেক বেশি। শকুন ঘন্টায় ৪৯ মাইল উড়তে পারে। সোনালী ঈগল ঘন্টা ১২০ মাইল উড়তে পারে। এক রকম জাতীয় পাখি ১৬০ থেকে ১৮০ মাইল উড়ে শিকার ধরে ম।
কেউ কেউ হিসেব করে দেখেছেন যে কয়েক জাতীয় পতঙ্গ ঘন্টায় ৮১৮ মাইল পর্যন্ত উড়তে পারে।

৬) ধোয়া কি?

কোন জিনিস ঠিকমতো না পুড়লে তা থেকে ধোয়া হয়। যেসব জিনিস পোড়ালে ধোয়া হয় সেগুলোর ঠিকভাবে পুড়লে গ্যাস হত, ধোয়া হত না। আমরা যা পোড়াই তা আংশিকভাবে পোড়ে আর  অসম্পূর্ণভাবে পোড়া অংশ থেকে ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়। অনেক শহরের ধোঁয়া, কুয়াশা সৃষ্টি করে দিনের আলোর অনেকটা ঢেকে দেয়। এছাড়া সব কিছু নোংরা ও ময়লা করে দেয়। ধোয়া গাছপালার ক্ষতি করে আর আমাদের ফুসফুসে ঢুকে ফুসফুসের স্বাভাবিক কাজে বাধা দেয় ও অনেক রোগের সৃষ্টি করে।

এই আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাদেরকে আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই।


No comments:

Post a Comment