১] বেলুনের রেকর্ড
এবার উচ্চতার বিচার নয়। দূরত্বের দিক থেকে বিচার করে দেখা যাক, কোন বেলুন কতখানি দূরবর্তী পথ অতিক্রম করে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। ডবল ঈগল-৫ রেভেন পরীক্ষামূলকভাবে হিলিয়াম গ্যাসপূর্ণ বেলুনটি উনিশ শ' একাশি খ্রীস্টাব্দের নয় থেকে বারই নভেম্বর পর্যন্ত শূন্যে অবস্থান করেছিল। পাঁচ লক্ষ কুড়ি হাজার আটশ' আটষট্টি মাইল অৰ্থাৎ আটলক্ষ আটত্রিশ হাজার দুশ চুয়ান্ন কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছিল। তার যাত্রাপথ ছিল জাপানের নাগাসিমা থেকে ক্যালিফোর্নিয়ার কোভিল্লো পর্যন্ত। বেলুনটির বাতাস ধারণ ক্ষমতা এগার হাজার তিনশ ঘন মিটার।
২] মেঘের রাজ্যে হানা
উনিশ শ' আশি খ্রীস্টাব্দের একত্ৰিশে অক্টোবর কলোরাডোর ডেনভারের লঙমন্ট থেকে আই. সি. আই ইনোভেশন বেলুন ব্যবহার করে জুলিয়ান নট নামে এক বেলুনবাজ খাড়াভাবে পঞ্চান্ন হাজার এক শ’ সাইত্রিশ ফুট অর্থাৎ যোল হাজার আটশ পাঁচ মিটার উপরে উঠে বিশ্বরেকর্ড সৃষ্টি করেন। উক্ত প্রতিযোগিতাটি পরিচালনা করেন এফ. এ. আই সংস্থা।
৩] বিশ্বের প্রথম বেলুন প্রতিযোগিতা
উনিশ শ’ বাহাত্তর খ্রীস্টাব্দের অক্টোবর মাসে ক্যালিফোর্নিয়ায় এক বেলুন উড়ানো প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তাতে যে বেলুনটি সর্বাধিক উচ্চতায় উঠে বিশ্বরেকর্ড সৃষ্টি করে সেটি প্রতিযোগিতার স্থান থেকে অর্থাৎ ভূমি থেকে এক শ’ সত্তর হাজার ফুট অর্থাৎ একান্ন হাজার আটশ' পনের মিটার উধ্বাকাশে উঠতে সক্ষম হয়েছিল। বেলুনটির নির্মাতা উখনজেন বেলুন কোম্পানী। বেলুনটির বাতাস ধারণ ক্ষমতা ৪৭.৮ লক্ষ ঘন ফুট।
৪] সেকালের বেলুন প্রতিযোগিতা
এফ.এ.আই সংস্থা পরিচালিত বেলুন প্রতিযোগিতার (দূরত্বের দিক থেকে) আয়োজন হয়েছিল উনিশ শ’ আটাত্তর খ্রীস্টাব্দে। এতে হিলিয়াম গ্যাস এবং উষ্ণ বায়ু ব্যবহারের সুযোগ ছিল। এই প্রতিযোগিতায় দু'জন বেলুনবাজ অংশ গ্রহণ করেন। তাদের একজন ছিলেন ডোনাল্ড অ্যালান ক্যামেরণ এবং দ্বিতীয়জন মেজর ক্রিস্টোফার ডেভীমেজর ডেভী মাত্র একশ’ তিন মাইল অর্থাৎ একশ’ ছেষটি কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেই আটলান্টিক মহাসাগরের জলে পতিত হন। কিন্তু ডোনাল্ড অ্যালান ক্যামেরণ উনিশ শ’ আটাত্তরের ত্ৰিশে জুলাই আটলান্টিক মহাসাগর অতিক্রম করে বিশ্বরেকর্ড সৃষ্টি করেন।
আবার বেলুনের সাহায্যে খোলা ঝুড়িতে চেপে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের চাউয়েন্সী এম. ডান্ উনি শ’ উনআশি খ্রীস্টাব্দের পয়লা আগস্ট তিপান্ন হাজার ফুট ওপরে উঠে বিশ্বরেকর্ড সৃষ্টি করেন।
৫] প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি
মনুষ্য বাহিত বেলুনের যে দল প্রথম প্রশান্ত মহাসাগর অতিক্রম করে তাতে ছিলেন বেন এল. অ্যাবুরুজো, ৫১, রকি এ্যায়োকি, ৪৬, (জাপান), রণ ক্লার্ক, ৪১ এবং ল্যারী এ . নিউম্যান, ৩৪ বছর বয়স্ক।
উষ্ণ বাতাসপূর্ণ বেলুন প্রতিযোগিতা পুনরায় নতুন করে অনুষ্ঠিত হয় ইউনাইটেড স্টেটস্ অব আমেরিকায় উনিশ শ' একষট্টি খ্রীস্টাব্দে। দূরত্বের দিক থেকে বিশ্বরেকর্ড সৃষ্টি করেন ফরাসী দেশীয় বেলুনবাজ মাইকেল অ্যামোন্ড এবং হেলিন ডোরিগান। তারা পঁচিশ-ছাব্বিশ নভেম্বর উনিশ শ' একাশি খ্রীস্টাব্দে বিশ্বরেকর্ড সৃষ্টি করেন। তারা পথ অতিক্রম করেন এগার লক্ষ পাঁচ হাজার চার শ' চুয়াত্তর কিলোমিটার। অর্থাৎ সাত লক্ষ এক হাজার সাত শ’ বাহান্ন মাইল। বেলুনটি শূন্যে অবস্থান করেছিল উনত্রিশ ঘণ্টা পাচ মিনিট আটচল্লিশ সেকেন্ড। আর সেটি ছিল এ টাইপ-৫০৩ সেমিরামিশ বেলুন। তার আয়তন ১৫,০০৪ ঘন মিটার।
No comments:
Post a Comment